সম্পদের লোভে ভাইয়ে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে অন্যের কাধে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্ঠার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কাশিপুরে গৃহবধূকে রাতভর ধর্ষণ ও নির্যাতন করার অভিযোগে আদালতে দুই লম্পটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মিথ্যা মামলা দিয়ে অন্যের স্ত্রীকে ধর্ষণ করলো দুই লম্পট।
এমনই এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল বরিশাল মেট্রোপলিটন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে নালিশী মামলা দায়ের করে বিমান বন্দর থানাধীন ৩০নং ওয়ার্ডের গন পাড়া এলাকার বাসিন্দা শুক্কুর রাড়ী। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বিমান বন্দর থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য নিদের্শ দেন।মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, মামলার বাদী শুক্কুর রাড়ীর সাথে প্রতিপক্ষ জুলহাস,হারুন,কালামের সাথে জমি নিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে।
শক্কুর রাড়ীর, সৎভাই আঃ রব রাড়ী বিভিন্ন সময় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে জমি উদ্ধারের জন্য শক্কুর রাড়ী ও তার স্ত্রীকে কু প্রস্তাব দিয়া আসতো। ঘটনা আগে শুক্কুর রাড়ীকে আঃ রব রাড়ী ও জব্বার রাড়ী জমি বিরোধের বিষয় জুলহাস, হারুন, কালামের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিতে প্রস্তাব দেয়। শুক্কুর রাড়ী সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায় আসামীরা। পরে গত ১৭ই ফেব্র“য়ারী শুক্কুর রাড়ীর স্ত্রীকে ভূল বুঝিয়ে সন্ধা ৭টার সময় ঘর থেকে ঢেকে গনপাড়া সেনের বাড়ী সুপারী বাগানের ভিতরে নিয়ে যান। পরে ভোর ৫টার পর্যন্ত আসামী জব্বার রাড়ী, আঃ রব সহ অজ্ঞাতনামা আরো একজন মিলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতন ও পর্যাক্রমে গণধর্ষণ করেন।
পরর্বতীতে শূক্কুর মিয়া মামলার ১নং আসামী জব্বারকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করে নাই। এর কিছুক্ষণ পরে শুক্কুর মিয়াকে ফোন করে জব্বার ও রব জানান, তার স্ত্রী সেনেরবাড়ি সুপারী বাগানে উলাঙ্গ হয়ে পরে আছেন। পরে শুক্কুর রাড়ী তার স্ত্রীকে উদ্ধার করেন। ঘটনার দিন ধর্ষিতা ওই নারীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার কথা বলে জব্বার ও রব কোতয়ালী মডেল থানায় নিয়ে গিয়ে প্রতিপক্ষ জুলহাস,হারুন,কালামের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ দিতে বলেন।
অপরদিকে ভূক্তভোগী শুক্কুর রাড়ী সময়ের বার্তাকে বলেন, আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে না নিয়ে কোতয়ালী থানায় নিয়ে যায় আসামীরা। পরে আমাকে জব্বার ও রব জানায় যে তারাই প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আমার স্ত্রীকে ধর্ষন ও নির্যাতন করেছেন। প্রতিপক্ষ জুলহাস, হারুন, কালামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়ার জন্য চাপপ্রয়োগ করেন। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে জব্বার ও বর তাকে ভয়ভিতি দেখিয়ে জোড় পূর্বক জুলহাস,হারুন,কালামসহ ৫জনার বিরুদ্ধে মিথ্যা একটি রেফ মামলা সাজিয়ে কাগজে স্বাক্ষর নেন আসামীরা।
পরে আমি আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করি এবং ওই স্বাক্ষরিত কাগজ ফেরত চাই। কিন্তু কাগজটি ফেরত না দিয়ে উল্টো তারা আমাকে হত্যা করার জন্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করতে থাকে । বিষয়টি আমি জব্বারের ১ম ও ২য় স্ত্রীদের জানাই এবং আমার মা খালাকে জানাই। এরপর আমি নিজেকে বাঁচাতে গত ২২শে ফেব্র“য়ারী বিষয়টি বিমান বন্দর থানার ওসিকে বিষয়টি অবগত করি। পরে পুলিশের পরামর্শে আদালতে মামলা করি। আসামীরা আমাকে মেরে ফেলার জন্য হুমকিও প্রদান করেন। বর্তমানে ধর্ষিতা শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান তার পরিবার।
