জীবন যুদ্ধে হার না মানা এক প্রতিবন্ধী নারী রোজিনা বেগম (৩২)। বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগদা গ্রামে তার জন্ম। শিশু বয়সে টাইফয়েডে তার বাম পা বিকলাঙ্গ হয়ে যায়। কিশোরী বয়সেই বরিশালের মুলাদী উপজেলার খেজুরতলা গ্রামের দরিদ্র সুমনের সঙ্গে বিয়ে হয়। জীবিকার তাগিদে স্বামীর সঙ্গে ছুটে যায় ঢাকায়। রোজিনা ১টি ছেলে ও ১টি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন। ছয় বছর আগে স্বামী মারা যায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে। স্বামী মারা যাওয়াতে তার মাথার ওপর আকাশ ভেঙ্গে পড়ে।
একদিকে নিজে অসহায় প্রতিবন্ধী অন্যদিকে ছোট ছোট দুটি বাচ্চা। কিভাবে চালাবে সংসার, কিভাবে জীবিকা নির্বাহ করবে। নিজের ও সন্তানদের কথা ভেবে তিন বছর আগে মির্জাগঞ্জে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সুবিদখালীতে একটি ঋণদান সংস্থার কাজ থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে একটি পুরাতন রিক্সা ক্রয় করেন। চালু হয় নতুন জীবন। সুবিদখালী উপজেলার বিভিন্ন সড়কে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে উপজেলার সুবিদখালী কলেজ রোড একটি ভাড়াটিয়া বাসায় থাকেন। ছেলে হৃদয় (১০) স্থানীয় একটি হাফিজী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। টানাটানির সংসারে মেয়ে রিতুকে (১৩) পড়াশুনা করাতে পারছেন না।
বরিশালের আজকের দৈনিক সময়ের বার্তায় নিউজটি প্রচারের পর, দক্ষিণ বাংলার আওয়ামী লীগের অভিভাবক, সাবেক চিফ হুইপ, পার্বত্য শান্তিচুক্তির রুপকার, পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক (মন্ত্রী) আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্, দেখামাত্র তৎক্ষনিক ভাবে নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিবন্ধী রোজিনাকে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা উপহার দেন।
আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ভাইয়ের পক্ষে রিক্সা হস্তান্তর করেন মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক খান মোঃ আবুবকর সিদ্দিকী, আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জুয়েল বেপারী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন মৃধা,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বাবু সুবল চন্দ্র দেবনাথ, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ নিজাম হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক খান, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাকিব মৃধা।